নুসরাত পাইরিন,কক্সবাজার :

কক্সবাজার পৌর শহরসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে দাপটের সঙ্গে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা,অতিরিক্ত হর্নে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে পথচারী,শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। অবাধে ব্যবহার হয়ে আসছে অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে এসব চলাচল করলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে পৌরবাসী। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের লোকজনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নাম, পুলিশ পরিচয় দানকারীরাও লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল ব্যবহার করে দাপটে বেড়াচ্ছেন। জানা যায়, মোটরসাইকেল এর নম্বর প্লেট এ নম্বর ব্যতীত অন্য কিছু লিখা নিষেধ সত্ত্বেও সাংবাদিক,অনস্টেট, বিভিন্ন সংগঠনের নাম লিখে বছরের পর বছর এভাবেই দাপটে বেড়াচ্ছেন পৌরসভার সর্বত্রই। বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নিরীহ শিশু ও পথচারীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গাড়ি নতুন অবস্থায় লাইসেন্স না করলে পরে বছর গুনে নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি জরিমানা দিয়ে লাইসেন্স করতে হয় বলে পরে আর কেউ গাড়ির লাইসেন্স করতে চায় না, এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। মাঝে মাঝে এসব নম্বরবিহীন মোটরসাইলের অভিযান পরিচালনা করলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমে যায়, আবার অভিযান থেমে গেলে দাপট বেড়ে যায়। সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তায় যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে তার ৬০ ভাগই নম্বরবিহীন। এ জন্য সরকার প্রাপ্ত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের লালদিঘির একজন মার্কেট মালিক বলেন, অনেক নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল তার প্রতিষ্ঠানের সামনে পার্কিং করে রাখে যার অধিকাংশের নম্বর নেই। নম্বরবিহীন এসব মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে কোন অভিযান পরিচালিত হয়নি বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, অভিযান চালিয়ে বাইকগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমার রশিদ দেখানোর পর গাড়ি ফেরত দিলে সরকার তার প্রাপ্ত রাজস্ব পেয়ে যেতো।এ ব্যাপারে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি আটক করলে ক্ষমতাসীন দল বলেন প্রভাবশালী বলেন অনেকেই তদবির করে নিয়ে যায়, তবে তিনি নম্বরবিহীন এসব গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায়।